বর্তমানে বাংলাদেশে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল আসক্তি এক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হচ্ছে মোবাইল গেমস, সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবের মতো অনলাইন মাধ্যমে। এই অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ও অপ্রয়োজনীয় ডিজিটাল ব্যবহারের ফলে দেখা দিচ্ছে- মানসিক অস্থিরতা ও বিষণ্ণতা,একাগ্রতা ও পড়াশোনায় আগ্রহের অভাব, সামাজিক মেলামেশায় দুর্বলতা, পারিবারিক মূল্যবোধ ও সম্পর্কের অবক্ষয়। অনেক পরিবারে এখন এটি প্রধান সমস্যা। একজন সন্তানের জীবন নষ্ট হলে, শুধু সে নয়—একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যায়। এই ভয়াবহতা শুধু স্বাস্থ্যগত নয়, এটি একটি নৈতিক ও সামাজিক জরুরি সংকট। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য করণীয় সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনেতা প্রয়োজন। উন্নত বিশ্বে এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ব্যাপক কাজ করছে। আমাদের দেশে এ বিষয়ে তেমন একটা কাজ দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। এ বিষয়ে কাজ করার জন্য আমরা প্রতিষ্ঠিত করেছি ডিজিটাল সিকুরিটি সোসাইটি। এরই উদ্যাগে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সবাই ডিজিটাল সিকুরিটি সোসাইটির সাথে ভলেন্টার হিসাবে কাজ করার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের মেধাবী এক ঝাঁক তরুণ প্রযুক্তিবিদদের অংশ গ্রহণ আমাদেরকে অনেক উৎসাহিত করেছে। সামনে আমরা দেশের জন্য অনেক অবদান রাখতে পারবো বলে আশা রাখি .